কেমন হবে একজন ফ্রিল্যান্সারের প্রোফাইল? (টিউটোরিয়াল শেষ)

freelancer-profile

ভিডিও ডেসক্রিপশন:

ফ্রিল্যান্সার পেশামানেই নতুন কিছু করতে চাওয়ার আগ্রহ। তাই নতুনত্বের মর্যাদা এখানেই সব চেয়ে বেশী। প্রায় সব ফ্রিল্যান্স/আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস তাদের কন্ট্রাকরদের জন্য সম্প্রতি নতুন এই ফিচারটি যোগ করেছে। আপনি চাইলে এখনই আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু বলে ভিডিও রেকর্ড করে আপলোড করে দিতে পারেন আপনার প্রোফাইলে। সর্বোচ্চ ১ মিনিটের একটি ভিডিওতে আপনি কি ধরনের কাজ করেন, কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ, কোন ভিত্তি করে কাজ করেন এবং সর্বশেষে ক্লায়েন্ট কিভাবে-কোথায় আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে হাসিমুখে বলুন। ভিডিও ডেসক্রিপশন মুলত কন্ট্রাক্টর এবং ক্লায়েন্ট এর সম্পর্ককে আরও একধাপ সামনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। ভিডিও রেকর্ডের সময় লক্ষ রাখুন যেন ব্যকগ্রাউন্ডে কোন নয়েজ না থাকে এবং সর্বোচ্চ রেজুলেশন রাখার চেষ্ঠা করুন।

কেমন হবে কাজের রেট:

আপনি কি রকম ঘন্টাপ্রতি রেটে কাজ করতে আগ্রহী তার একটি সাধারন ধারণা ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইলে দেয়া ঘন্টা প্রতি রেট থেকে পায়। কাজেই এটি নির্বাচনের সময় একটু ভেবে চিন্তে লিখুন। সবচেয়ে ভাল হয় আপনার ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্য দক্ষ ব্যক্তিরা কি রেটে কাজ করে তা জানুন। তাদের কাজের সাথে আপনার নিজের কাজের তুলনা করুন তারপর ঠিক করুন আপনার ঘণ্টাপ্রতি কাজের দাম কত হওয়া উচিত। তবে কখনই কম দামে কাজ করবেন না। আপনার কাজের মুল্য কি সেটা আগে জানুন পরে দাম ঠিক করুন। আমি একটি নীতিতে বিশ্বাস করিঃ “Do it free rather than doing it less”।

পোর্টফোলিও:

এ পর্যন্ত যত ফ্রিল্যান্স কাজ করেছেন তার স্ক্রিনশট নিয়ে উক্ত কাজের বিবরণ এবং লাইভ লিঙ্ক সহ আপনার প্রোফাইলে যোগ করতে পারেন। এখানে উল্লেখ্য যে আজে বাজে কোন কিছু পোর্টফোলিও আইটেম হিসাবে এড না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে আপনার ইম্প্রেশন নষ্ট হওয়া থেকে বেঁচে যাবে। তাই আপনার প্রোফাইলটা যেই ধরনের কাজ করার জন্য তৈরি করতে চাচ্ছেন সেই সম্পর্কিত অতীতের অনুশীলন এবং অন্য ক্লায়েন্ট এর জন্য করা কাজের স্ক্রিনশট দিতে পারেন। তবে অবশ্যই তাদের অনুমতি সাপেক্ষে।

এক্সাম/টেস্ট:

ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল তৈরির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে টেস্ট। একজন ফিল্যান্সার কোন ক্যাটাগরিতে কাজ করে সেখানে তার দক্ষতা কতটুকু তা বুঝার জন্য কোন ক্লায়েন্ট টেস্ট অংশটুকুতে চোখ ভুলাতে ভুল করেনা। তাই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই টেস্ট অংশটি সাজানো উচিত আমাদের। প্রোফাইলের শুরুর দিকে যেই টাইটেল-ট্যাগ এবং ডেসক্রিপশন অংশটি শেষ করেছি এখানে তারই প্রতিফলন পরবে। তাই আপনি যেই ক্যাটাগরির কাজ করুন না কেন সকল মার্কেটপ্লেসেই সেগুলোর কিছু না কিছু টেস্ট রয়েছে। একটু সময় নিয়ে হলেও টেস্টগুলো দিন। ভাল ফলাফল করা টেস্টগুলোর রেজাল্ট পাবলিক ভিসিবল করে রাখুন আর খারাপ করা টেস্টগুলো হাইড করে রাখতে পারেন ইচ্ছে করলে।

এমপ্লয়মেন্ট হিস্টোরি, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অন্যান্য অভিজ্ঞতা:

যদিও এই অংশগুলোর একটাও ততোটা গুরুত্বপূর্ণ নয় তথাপি নিজের প্রোফাইলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নিশ্চয়ই এই বিষয়গুলো হালনাগাদ করে নিতে কেউ আপত্তি করবেন না। শুধু তাই নয় যখন একজন ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইলে এসে দেখতে পাবে প্রত্যেকটা অংশে আপনার সুচারু হাতের স্পর্শ রয়েছে নিঃসন্দেহে এরকম একটি প্রোফাইলের প্রতি ক্লায়েন্ট দুর্বল হয়ে পরবে। সে বুঝবে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল নিয়ে কতটা সিরিয়াস এবং ভবিষ্যতে যদি সে আপনাকে হায়ার করে তাহলে তার কাজেও আপনি এরকমই সিরিয়াসনেস প্রদর্শন করবেন- এরকমই ধারণা জন্মাবে তার মনে।

আরও কিছু বিষয় রয়েছে হয়তো আমি জেনে শুনেই এড়িয়ে গিয়েছি কারণ এমন কিছু বিষয় আছে যা সবাই জানেন কাউকে বলে দেয়া লাগে না। অসংখ্য ভুল ভ্রান্তিতে ভরা থাকতে পারে আমার এই লিখাটিতে কিন্তু এ পর্যন্ত নিজে যে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তা আজকে এখানে তুলে ধরার প্রয়াস করেছি মাত্র। আপনার কোন অভিজ্ঞতা শেয়ার করার থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

Related posts

Leave a Comment